বুধবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০১১

মকবুল ফিদা হুসেন এবং হিন্দু মৌলবাদ

যদি প্রশ্ন করা হয় শিল্প কী, তার চেয়ে বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়ায় শিল্প কেন? কারণ শিল্প সৃষ্টির একটাই মুখ্য উদ্দেশ্য থাকে আর তা হলো – সুন্দরের সৃষ্টি। আর আমরা সবাই জানি যা আনন্দ প্রদান করে তা-ই সুন্দর। প্রকৃতি সুন্দর বলেই আমাদের তা আনন্দ দান করে। প্রকৃতির সৌন্দর্য প্রদানের মাঝে কোনো কৃত্রিমতা নেই। উন্মুক্ত বা নগ্ন হয়েই সে নিজেকে প্রকাশ করে। প্রকৃতি অকৃত্রিম বলেই সুন্দর এবং সেই প্রকৃত সুন্দরের কারণেই আমরা আনন্দে অবগাহন করতে পারি। খাঁটি শিল্পী তাই প্রকৃতির মতো অকৃত্রিম হতে চায়। তার শিল্পসাধনার একটাই লক্ষ্য থাকে, আর তা হলো সুন্দরের সাধনা। কিন্তু এই সুন্দরের সাধনার পথটি বেছে নেওয়া এতো সহজ কাজ নয়। আর তাই সবাই শিল্পী হতে পারে না। যে কারণে কবি জীবনানন্দ দাশ বলেছেন – ‘‘কেউ কেউ কবি, সবাই কবি নয়।’’
সুন্দরের পথ বেয়ে শিল্পের নন্দনতত্ত্বে শ্লীল আর অশ্লীলের প্রশ্ন দেখা দেয়। পৃথিবীর অন্যতম বিখ্যাত চিত্রকর পাবলো পিকাসো একজন নারীর সুন্দর নগ্ন শরীরকে শ্লীল বলেই আখ্যায়িত করেছিলেন। যা দেখতে অসুন্দর তা-ই অশ্লীল। তাই ‘নগ্ন’ আর ‘উলঙ্গ’, ইংরেজিতে যাকে ‘ন্যুড’ আর ‘ন্যাকেড’ বলা হয় শব্দ দুটো এক নয়। নগ্নতার মাঝে থাকে সৌন্দর্য, আর উলঙ্গের মাঝে থাকে কদর্য। এই নগ্নতা আর উলঙ্গের মাঝের ভেদরেখা করতে পারেননি বলেই মকবুল ফিদা হুসেনকে ভারতের হিন্দু মৌলবাদী গোষ্ঠী দেশছাড়া হতে বাধ্য করেছিল। যে ফিদা ২০০৬ সাল থেকে বিদেশে অবস্থান করেন এবং বাধ্য হয়ে গত বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি কাতারের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন। বিদেশে অবস্থানরত অবস্থাতেই ৮ জুন লন্ডনে হৃদক্রিয়া বন্ধ হয়ে পঁচানববই বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন। যে ফিদা সুন্দরের অন্বেষণে সারাজীবন তার চিত্রকর্মের কর্মজীবন অতিবাহিত করেন এমন শিল্পীর এরকম করুণ মৃত্যু সত্যি দুঃখজনক।

ফিদার বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপিত হতে শুরু হয় ১৯৯৬ সালে। আমাদের মনে রাখতে হবে এটা হচ্ছে সেই বছর যে বছর ভারতের নির্বাচনের রাজনীতিতে হিন্দু মৌলবাদী শক্তির প্রতিপত্তি বাড়তে থাকে বা উদীয়মান হতে থাকে। ১৯৯৬ সালে ভুপাল থেকে প্রকাশিত মাসিক পত্রিকা ‘বিচার মীমাংসা’য় ওম নাগপালের এক প্রবন্ধের শিরোনাম ছিল – ‘‘উনি (ফিদা) কি একজন শিল্পী না কসাই?’’ এবং সেই সঙ্গে ১৯৭০ সালে ফিদার অাঁকা সরস্বতী দেবীর নগ্ন চিত্রটির প্রতিরূপ ছাপা হয়। মহারাষ্ট্রের তৎকালীন সংস্কৃতিমন্ত্রী এবং শিবসেনা নেতা প্রমোদ নাভালকার পত্রিকার রিপোর্টের মাধ্যমে ওই প্রবন্ধ সম্পর্কে অবগত হন এবং মূল প্রবন্ধটি পড়ে তা মুম্বাই পুলিশ কমিশনারের কাছে পত্রযোগে বিষয়টি অবগত করান। মুম্বাই পুলিশ সেই পত্রটি অভিযোগ আকারে গ্রহণ করে এবং ১৯৯৬-এর ৮ অক্টোবর, ভারতীয় পেনাল কোড, ধারা ২৯৫-এ (বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে বিরাগ বা ঘৃণার উদ্রেক ইত্যাদি) এবং ধারা ২৯৫ (সুচিন্তিত এবং বিদ্বেষপ্রসূত কাজ যা যে কোনো ধর্মীয় সম্প্রদায়ের অনুভূতির ওপর প্রচন্ড আঘাত হানে)-এর অধীনে ফিদার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। এর পরপরই বজরঙ দল নামের হিন্দু মৌলবাদী রাজনৈতিক দল আহমেদাবাদের হারউইট গ্যালারির বিখ্যাত হুসেন- দোশি গুফা কমপ্লেক্সে হানা দিয়ে হুসেনের চিত্রকর্মগুলো ধ্বংস করে, যার ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় এক কোটি পাঁচ লাখ রুপি। হুসেনের প্রায় সব চিত্রকর্ম নষ্ট করা হলো, এমনকি এই ধ্বংসযজ্ঞ থেকে তার সযত্নে অঙ্কিত বৌদ্ধ, হনুমান এবং গণেশের চিত্রকর্ম পর্যন্ত বাদ পড়লো না।

মুম্বাই, দিল্লি এবং আহমেদাবাদের শিল্পীরা হুসেনের সঙ্গে একাত্ম প্রকাশ করে এর প্রতিবাদ জানান। প্রতিবাদকারীরা সুপ্রাচীন হোসেলা মন্দিরের সরস্বতীর বিভিন্ন নগ্ন মূর্তির দৃষ্টান্ত উল্লেখ করেন। তারা বলেন, ভারতীয় চিত্রশিল্পে নগণ দেবদেবী বা নগ্নিকার রূপায়ন ঐতিহ্য বহন করে আসছে। ফিদা সেই ঐতিহ্যকেই বহন করেছেন। লন্ডনে হুসেন একটি বিবৃতি দিয়ে জানালেন,এ চিত্র তিনি কাউকে আঘাত দেয়ার অভিপ্রায়ে অাঁকেননি। তবে তিনি যদি তাই করে থাকেন, সেজন্যে তিনি ক্ষমাপ্রার্থী। শুধু তাই নয়, ফিদা মনে করেন- ‘‘আমার কাজ কাউকে আঘাত দিলে আমি ক্ষমাপ্রার্থী। কারণ আমি মনে করি মানবতার প্রশ্নটি শিল্পের আগে স্থান পাবার বিষয়। কাজেই আমি কখনো কারোর অনুভূতিতে আঘাত দিতে চাই না।’’ এতোসব সত্ত্বেও হিন্দু মৌলবাদী গোষ্ঠী তাকে রেহাই তো দেয়ইনি, তাকে হত্যার হুমকি পর্যন্ত দিয়ে বসে। ১৯৯৮ সালে নগ্ন সীতাকে হনুমানের লেজের ওপর অঙ্কন করায় আবার তিনি আক্রোশের মুখে পড়েন। ২০০৬ সালে ফিদার অঙ্কিত ‘‘নগ্ন ভারতমাতা’’ চিত্রটির জন্য তাকে পুনরায় অভিযুক্ত করা হয়।  অশোক পান্ডে যিনি হিন্দু ল’ বোর্ডের প্রধান, ফিদাকে মেরে ফেলার জন্যে ১০১ কোটি রুপি প্রদানের ঘোষণা করেন। এভাবে মৃত্যু পরোয়ানা প্রচার হতে থাকে, সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের হামলা। অবশ্য ভারতমাতা ক্যাপশনটি ফিদার দেওয়া ছিল না। এ ক্যাপশন দিয়েছিলেন তার ছবির প্রদর্শকরা।

যাহোক অবশেষে ২০০৮ সালে হাইকোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় কিশান কালু তার যুগান্তকারী রায় দেন। সেই রায়ের সারমর্মে যা বলা হয় তা হলো – ফিদার ভারতমাতা চিত্রটি অশ্লীল নয়, নয় কামোদ্দীপক এবং এই চিত্র কোনো বিকৃত কামনার উদ্রেক করে না। চরম দুর্দশাগ্রস্ত একজন নারীর বিমূর্ত চিত্রের মাধ্যমে জাতির একটি অবয়ব দেখাতে চেয়েছেন তিনি। তার চিত্রটির নান্দনিক নগ্নতা, অশ্লীলতাকে বাধাগ্রস্ত করে। চিত্রটি তার মতে কোনো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে না। অতঃপর সুপ্রিমকোর্ট এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল খারিজ করে দেন। কিন্তু আরো তিনটি মামলা তার বিরুদ্ধে জারি থেকে যায় যার একটি ২০০৯ সালে খারিজ হয়ে যায় এবং বাকি দুটি ঝুলে থাকে- সঙ্গে তার চিত্রকর্মের বিরুদ্ধে বর্বরের ন্যায় বিধ্বংসীকারীর ভয়াবহ ভীতি প্রদর্শন অব্যাহত রয়ে যায়। গত বছর তাই ফিদার অ্যাডভোকেট আকিল সিবাল বলেন- ‘‘ভারত সরকার ১৫ বছর ধরে হুসেনের হয়রানির ক্ষেত্রে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে এসেছে। তারা না কোনো স্পষ্ট অবস্থান নিয়েছে, না হুসেনের পক্ষে দ্ব্যর্থহীন কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। সরকার যেন এভাবে হুসেনের জামিনরূপে না থাকে এবং ধর্মীয় উগ্রপন্থীদের উচ্চ ও তীক্ষ্ণস্বরের বিপরীতে অবশ হয়ে না থাকে।’’ তারপরও সবার নীরবতার ভেতর দিয়েই ফিদাকে ভারত থেকে অনেক দূর অবস্থানে চির বিদায় নিতে হলো।

মকবুল হুসেন ফিদা যিনি মহারাষ্ট্রের পাহাড়পুরে ১৯১৫ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর জন্মেছিলেন। তার বাবা  সেখানকার একটি কারখানার শ্রমিকদের কার্যকালের হিসাবরক্ষক পদে কর্মরত ছিলেন। কলেজের গন্ডি পার হয়ে ১৭ বছর বয়সে দর্জির কাজে শিক্ষানবিশী করেন ফিদা। ১৯৩৭ সালে মুম্বাই চলে আসার পর প্রথমে চলচ্চিত্রে অভিনয় করার বাসনা থাকলেও চিত্রকর্মেই মনোনিবেশ করেন। সেখানে তিনি বিলবোর্ড স্থাপনের সহকারী হিসেবে কাজসহ সাইনবোর্ডের চিত্রশিল্পী হিসেবেও কাজ করেন। তাছাড়া আসবাব এবং খেলনার কারিগর হিসেবেও বেশ কিছুদিন কাজ করেন। এর পাশাপাশি চিত্রকর্মের কাজ চালিয়ে যান। ১৯৫২ সালে তার প্রথম একক প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয় বোম্বেতে এবং পরবর্তীতে প্রথম আন্তর্জাতিক শিল্প প্রদর্শনী হয় জুরিখে।

তিনি ১৯৫৫ সালে পদ্মশ্রী, ১৯৭৬-এ পদ্মভূষণ এবং ১৯৯১-এ পদ্মবিভূষণ খেতাবে ভূষিত হন। এছাড়া ১৯৭১-এ ব্রাজিলের সাওপাওলোতে অনুষ্ঠিত দ্বিবার্ষিক শিল্প প্রদর্শনীতে পাবলো পিকাসোর সঙ্গে বিশেষ আমন্ত্রিত অতিথি শিল্পী হিসেবে যোগ দিয়ে ভারতের মুখ উজ্জ্বল করেন। শিশুবয়সে মাতৃহীন ফিদাকে আজীবন ‘নারী’র প্রতি এক অসীম সম্মান প্রদর্শন করতে দেখা যায়, নারীকে তাই তিনি শ্রদ্ধার সঙ্গে তার চিত্রকর্মে ঠাঁই করে দিয়েছিলেন। যে কারণে মাদার তেরেসার ওপর তার সিরিজ চিত্রকর্মে তেরেসার কোন মুখাবয়ব দেখা না গেলেও নীল পাড়ের সাদা শাড়ি পরিহিত নারীটিকে আমাদের মাদার তেরেসা বলে শনাক্ত করতে কোন ভুল হয় না। সেই সম্মান থেকেই তিনি ২০০০ সালে নির্মাণ করেন মাধুরি দীক্ষিত অভিনীত ‘গজগামিনী’ চলচ্চিত্র এবং ২০০৪ সালে নির্মাণ করেন টাবু অভিনীত ‘মিনাক্ষী’ চলচ্চিত্র। ১৯৬০ সালে ভারতের চলচ্চিত্র বিভাগ তাকে স্বল্প দৈর্ঘের একটি ছবি নির্মাণের অনুমতি প্রদান করলে তিনি নির্মাণ করেন ‘‘Through the eyes of a painter’’। যে ছবিটি বার্লিন চলচ্চিত্র উৎসবে ‘গোল্ডেন বিয়ার’ পুরস্কারে ভূষিত হয়।

প্রয়াত শান্তি চৌধুরী যিনি ১৯৬০-৭০ দশকের একজন স্বনামধন্য তথ্যচিত্রনির্মাতা হিসেবে খ্যাত, ফিদার ওপর তথ্যচিত্র নির্মাণ করেন। যে ছবিতে আমরা ফিদার মহাভারত এবং রামায়ণের প্রতি প্রগাঢ় মনযোগের পরিচয় পাই। ছবিটিতে শান্তি দেখিয়েছেন ফিদার চিত্রকর্মের বেশিরভাগ কাজ মহাভারত এবং হিন্দু মিথ থেকে গ্রহণ করা। ফিদা বিশ্বাস করতেন ধর্মীয় অভিগমন সাংস্কৃতিক প্রতিফলনে তার প্রকাশ ঘটে। সাধারণ মানুষের ধর্মীয় বিশ্বাসের ওপর তার প্রগাঢ় শ্রদ্ধাবোধ ছিল এবং এই বিশ্বাস সমাজের প্রগতির দিকে ধাবিত করে বলেই তিনি মনে করতেন।

যে শিল্পী তার শিল্পকর্মে সত্যনিষ্ঠ হতে চায় তাকে প্রথমে নিজের কাছে সত্যনিষ্ঠ হতে হয় আর ফিদা ছিলেন এই দুই সমন্বয়ের সংশ্লেষণ। অত্যন্ত সাধারণ জীবনযাপনে বিশ্বাসী এই শিল্পী কোন দামি রেস্তোরাঁর চেয়ে রাস্তার ধারের দোকানের চা-ই বেশি পছন্দ করতেন। এই সাধারণত্বের কারণেই  তিনি তার শিল্পকর্মে ভারতের প্রাচীন ঐতিহ্য তথা মূল সংস্কৃতির সন্ধানে রত ছিলেন। তার এই বিশ্বাসের জায়গা থেকে ’৯৬-এ আহমেদাবাদ গ্যালারিতে তার চিত্রকর্মের ওপর আক্রমণের পর তার প্রতিক্রিয়ায় বলেছিলেন- ‘‘আন্তর্জাতিক শিল্পী হতে হলে নিজের শেকড়কে কখনো অস্বীকার করা যায় না। …আমি ভারতের একটি অংশ, আমার আছে ৫০০০ বছরের সংস্কৃতি এবং ভারতে জন্মে আমি নিজেকে ভাগ্যবান বলে মনে করি।’’ তার মৃত্যুর পর স্বভাবতই এখন প্রশ্ন জাগবে, তিনি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করলেও ভারত তার প্রতিদানে তাকে কতটুকু ভাগ্যবান মনে করে বা করবে? কারণ ফিদার মতো আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন যে শিল্পীকে নিজের দেশে বিড়ম্বনার কারণে শেষ বয়সে অন্য দেশের নাগরিকত্ব গ্রহণ করতে হয়, মৃত্যুর পরও কি সেই শিল্পী সেই দেশের (কাতার) নাগরিক হয়েই থাকবেন?

সুনীল শেঠি, ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে তার প্রবন্ধ ‘A Portrait of India’s Intolerance’-এ তাই লিখেছেন, ‘‘ভারত হয়তো এখন হুসেনকে তার দেশের সন্তান হিসেবে দাবি করবে। কেউ কেউ তার নামে ডাকটিকিট ছাপাবে। অন্যরা তার নামে রাস্তা বা গ্যালারির নামকরণ করবে…।’’ এসবের পরেও ভারতের শিল্পকলার ইতিহাসে ফিদার উদাহরণ একটি উল্লেখযোগ্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। যে দৃষ্টান্ত অন্য শিল্পীদেরও ভাবিয়ে তুলছে। মুম্বাই থেকে অনুপমা কাটানাম তার একটি হ্যান্ডআউট (M.F. Hussain remained a victim of attacks and hate campaingns by Hindutva groups in the last 15 years) এ লিখেছেন- ‘‘…ফিদার চলে যাওয়ার মধ্যে দিয়ে ‘শিল্পের স্বাধীনতা’র প্রশ্নটি আবার নবরূপে দেখা দিয়েছে এবং সেই সঙ্গে রাষ্ট্রের মৌলিক অধিকার রক্ষার ব্যর্থতার প্রশ্নটিও উত্থাপিত হচ্ছে। হিন্দু মৌলবাদী গোষ্ঠীর পরমত অসহিষ্ণুতার প্রথম শিকার চিত্রকর হুসেন। যথেষ্ট ক্ষতি তার করা হয়েছে। অনেক শিল্পী এখন সৃষ্টিশীল কাজ করতে ভয় পাচ্ছেন। হুসেনের পথে যেতে এখন সবাই ভয় পাচ্ছেন…।’’সেজন্যই সুন্দরের সাধনা দিয়ে প্রবন্ধটি শুরু করা হয়েছিল। শিল্পের কাজ সুন্দরের সাধনা অর্থাৎ আনন্দ প্রদান, রাষ্ট্র বা কোনো ক্ষুদ্র গোষ্ঠী তার বা তাদের নিষেধাজ্ঞা দিয়ে কোনো শিল্পের কাজ বন্ধ করে দিলে তাতে  সেই রাষ্ট্রেরই শুধু ক্ষতি হয় না, সেই সঙ্গে গোটা মানবসমাজেরও ক্ষতি হয়। আমরা কোনো দেশের জন্যই সেই ক্ষতি ভবিষ্যতে দেখতে চাই না।
ফ্লোরা সরকার

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন