রবিবার, ২৪ জুলাই, ২০১১

নিষিদ্ধ নির্মাতা জাফর পানাহী

কেনিয়ার বিশিষ্ট লেখক গুগি ওয়াং থিয়ংও তার বিখ্যাত প্রবন্ধ ‘শিল্পী ও রাষ্ট্র : সম্পর্কের টানাপোড়েন’-এ লিখেছেন – ‘‘যখন শিল্পী আর রাষ্ট্রের মধ্যে সংঘাত শিল্পভূমির ওপর আধিপত্য প্রতিষ্ঠা নিয়ে, তখন বুদ্ধিজীবীর ভূমিকা বিশ্লেষকের, ব্যাখ্যাকারের। রাষ্ট্র, স্বৈরতান্ত্রিক রাষ্ট্র বাধা দেয় শিল্পকে, মানুষকে ক্ষমতাবান করে তোলে যে শিল্প তাকে। যখন রাষ্ট্র শিল্পের সঙ্গে সখ্য তৈরি করার চেষ্টা করে, তৈরি করতে পারে, সেখানেও সেই সখ্যের বিশ্বাসযোগ্যতাকেই রাষ্ট্র সন্দেহ করে।…শিল্পের কাছে উত্তরের চেয়ে প্রশ্নের সংখ্যা বেশি। শিল্প শুরু করে না-জানার জায়গা থেকে, জানতে চাওয়া থেকে। শিল্পের কাছে কোনো উত্তর নেই। প্রশ্নের মধ্যেই উত্তর জড়িয়ে থাকে। তা ইঙ্গিত, সম্ভাবনা, নিশ্চয়তা নয়। পক্ষান্তরে রাষ্ট্রের কাছে অনেক উত্তর এবং প্রায় কোনো প্রশ্নই নেই। রাষ্ট্র যত স্বেচ্ছাচারী হবে, তত নিজেকে কম প্রশ্ন করবে। তত কম অন্যের প্রশ্নকে শুনতে চাইবে।’’ রাষ্ট্রের কাছে প্রশ্ন নেই বলে রাষ্ট্র প্রশ্নবিদ্ধ হবে না তা কিন্তু নয়। শিল্পের কাজে যখনই বাধা এসেছে তখনই শিল্পীরা প্রতিবাদের ভাষা নিয়ে এগিয়ে এসেছে।
২০ ডিসেম্বর ২০১০-এ ইরানের অন্যতম বিশ্বখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা জাফর পানাহীকে যখন ইরান সরকার ছয় বছরের জেল এবং বিশ বছরের জন্য চলচ্চিত্র নির্মাণ নিষিদ্ধ করে দেয় তখন বিশ্বব্যাপী নিন্দা, প্রতিবাদ ও প্রশ্নের ঝড় ওঠে। যা অব্যাহত গতিতে এখনো চলছে। শুধু তাই না, পানাহীর অন্যতম সহযোগী চলচ্চিত্র নির্মাতা মোহাম্মদ রসোলফকেও সাজা দেওয়া হয়। এবারের বার্লিন ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে পানাহীর সম্মানে তার ছবির প্রদর্শনী এবং এই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে বিশেষ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। পানাহীকে এবারের ফেস্টিভ্যালে গোল্ডেন বিয়ার শাখার জুরি হিসেবেও মনোনীত করা হয়। ২০০৬ সালে এই ফেস্টিভ্যালেই তার ‘অফ সাইড’ ছবিটি সিলভার বিয়ার (জুরি গ্র্যান্ড প্রাইজ) পুরস্কারে ভূষিত হয়। কিন্তু জেলে থাকার কারণে এবারের ফেস্টিভ্যালে যাওয়া হয়নি তার। এবারের কান চলচ্চিত্র উৎসবেও (ফ্রান্স) পানাহী এবং মোহাম্মদ রাসোলফকে বিশেষভাবে সম্মানিত করা হয়। রাসোলোফের ‘গুডবাই’ এবং পানাহীর ‘দিস ইজ নট এ ফিল্ম’ ছবি দুটি এবারের কান চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয়। উৎসবে পানাহীর নিষেধাজ্ঞা বিষয়ে নিন্দা জ্ঞাপন করা হয়। ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১১ নিউইয়র্ক শাখার এশিয়াটিক সোসাইটি পানাহীর নিষেধাজ্ঞা নিয়ে বিশেষ আলোচনার আয়োজন করে। সেই সঙ্গে মোহাম্মদ রাসোলফ পরিচালিত এবং পানাহীর সম্পাদিত ছবি ‘দ্য হোয়াইট মিডোজ’ ছবিসহ পানাহীর আরো দুটি ছবি ‘ক্রিমসান গোল্ড’ এবং ‘দ্য সার্কল’-এর প্রদর্শনীর আয়োজন করে সোসাইটি। সেই আলোচনার বিস্তারিত এবং ছবি নির্মাণের ক্ষেত্রে পানাহীর নিজস্ব দৃষ্টিকোণ নিয়ে আলোচনার আগে দেখা যাক কী কারণে ইরান সরকার তাকে এবং মোহাম্মদ রাসোলফকে বিভিন্ন দন্ডে সাজাপ্রাপ্ত করেছেন।
পানাহীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ শুরু হয়েছিল বেশ আগে থেকেই। ২০০৯-এর ৩০ জুলাই তাকে প্রথমবারের মতো গ্রেফতার করা হয়। ২০০০-এ নির্মিত ‘দ্য সার্কল’ এবং ২০০৬-এ নির্মিত ‘অফ সাইড’ ছবিসহ আরো অনেক ছবি ইরানের বাইরে পুরস্কৃত হলেও ওই ছবি দুটিসহ তার অন্যান্য ছবি নিয়ে সরকারের ভেতর সমালোচনা শুরু হয়ে যায়। প্রথমবার গ্রেফতারের পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হলেও তার পাসপোর্ট কেড়ে নেওয়া হয় এবং দেশ ছাড়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। ২০১০-এর ফেব্রুয়ারিতে ষাটতম বার্লিন চলচ্চিত্র উৎসবে তার যোগদানের কথা ছিল এবং ছবির আলোচনা পর্বে পানাহীর আলোচনা করারও কথা ছিল যার শিরোনাম – ‘ইরানি ছবি : বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ; প্রত্যাশা ইরানের ভেতরে এবং বাইরে’ – কিন্তু ইরান সরকার তাকে সেই উৎসবে যোগদান করতে দেয়নি। ১ মার্চ, ২০১০ পানাহীকে আবার গ্রেফতার করা হয়। তাকে তার স্ত্রী, কন্যাসহ তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে এভিন কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। সেই গ্রেফতারের সময় তার ১৫ জন বন্ধুকেও গ্রেফতার করা হয়। পরে ৪৮ ঘণ্টার মাথায় তাকে ছাড়া আর সবাইকে ছেড়ে দেওয়া হয়। পানাহীর গ্রেফতারি পরোয়ানা সরকার নিশ্চিত করলেও তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তখনো নিশ্চিত করা হয়নি। শেষে ২০ ডিসেম্বর, ২০১০-এ গ্রিন মুভমেন্টে যোগদানের অভিযোগে তার জেল এবং ছবি নির্মাণের ওপর নিষেধাজ্ঞার আদেশ জারি করা হয়। বর্তমানে এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের শুনানি চলছে।
১৯৬০ সালে ইরানের মাইনেহ প্রদেশে জাফর পানাহীর জন্ম। মাত্র ১০ বছর বয়সে তার লেখা প্রথম বইটি লিটারেরি কম্পিটিশনে প্রথম পুরস্কার লাভ করে। যুবক বয়সেই তিনি ৮ মিলিমিটার ফিল্মে সহযোগী হিসেবে বিভিন্ন ছবির কাজ শুরু করেন। ইরান-ইরাক যুদ্ধের সময় (১৯৮০-৯০) তিনি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। যুদ্ধ শেষে আবার ছবির জগতে ফিরে আসেন এবং ইরানের অন্যতম চলচ্চিত্রকার আববাস কিয়ারসতামির সহযোগী হিসেবে কাজ করেন কিছুদিন। কিয়সতামির পান্ডুলিপি দিয়ে নির্মাণ করেন তার অন্যতম বিখ্যাত ছবি ‘দ্যা হোয়াইট বেলুন’ (১৯৯৫)। যে ছবি কান ফেস্টিভ্যালে শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রহণের জন্য পুরস্কৃত হয়। এরপর একে একে আরো ছবি নির্মাণ করেন। পানাহীকে ইরানের নিও রিয়ালিজমের পথিকৃৎ হিসেবে গণ্য করা হয়। তার ছবি মানবিক আবেদনের জন্য বিশেষভাবে প্রশংসিত। বিশিষ্ট ফিল্ম ক্রিটিক স্টিফেন তেওকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তেও তাকে তার ছবির রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন – ‘‘আমি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নই। রাজনৈতিক ছবি আমার ভালো লাগে না। সামাজিক সমস্যা নিয়েই আমার ছবির বিষয়বস্ত্ত আবর্তিত। বিশেষত সাম্প্রতিক বিষয়সমূহ। আমার কাছে কী কারণে কোন ঘটনা ঘটেছে সেটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয়। হতে পারে তা রাজনৈতিক বা ভৌগলিক কারণ। আমার কাছে যা গুরুত্বপূর্ণ তা হলো সামাজিক বিষয়গুলো। আমি কোনো রাজনৈতিক মন্তব্য দিতে চাই না বা কোনো রাজনৈতিক তর্কে জড়াতে চাই না। আমি বিশ্বাস করি একজন শিল্পী রাজনীতির ঊর্ধ্বে নিজেকে নিয়ে যাবে। কারণ রাজনৈতিক ছবির সীমাবদ্ধতা রয়েছে। সময়ের সীমাবদ্ধতা। সে সময় অতিবাহিত হয়ে গেলে সেই ছবির উদ্দেশ্যও অন্তর্হিত হয়ে যায়। কিন্তু নান্দনিক ছবির কোনো সীমাবদ্ধতা নেই। সেই ছবি সবসময় সবস্থানে দর্শকের মন ছুঁয়ে যায়। নান্দনিক ছবি কোনো রাজনীতিকে স্পর্শ করে না। তা মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নেয় আর আমি নান্দনিক ছবিই নির্মাণ করতে চাই।… একজন রাজনৈতিক ব্যক্তি শুধু কালো বা শুধু সাদা দেখে। কিন্তু আমি সাদা-কালোকে একত্রে বুনে কাজ করি। আর এখানেই মানবিকতার দৃষ্টি অন্তর্নিহিত।’’
তার ‘দ্য সার্কল’ ছবিটি যখন দেখি, আমরা দেখতে পাই কীভাবে বিভিন্ন নারী ভিন্ন ভিন্ন শ্রেণী থেকে এসেও একটি নির্দিষ্ট বলয়ে বন্দি হয়ে যায়। একটি নারী শিশুর জন্মের কান্নার ভেতর দিয়ে ছবিটি শুরু হয়, ছবির শেষে একই জেলখানায় সমাজের বিভিন্ন স্তর থেকে আসা নারীদের ঠাঁই হয়। নারীমুক্তির শত শত বাধা সমাজ কীভাবে বেঁধে দিয়েছে সেটা এতো সরল-সহজ ভাষায় পানাহীর মতো আর ক’জনই বা পেরেছে বলতে? ‘হোয়াইট বেলুনে’ও দেখি সেই ছোট্ট মেয়েটি যে কিনা একটা গোল্ডফিস কেনার জন্য কত ধরনের প্রতীকী বিপদের মধ্য দিয়ে পার হয়।
তার অন্যতম ছবি ‘অফ সাইড’ যা নির্মিত হয় ২০০৬ সালে ইরান-বাহরাইন ফুটবল ম্যাচকে কেন্দ্র করে এবং শুটিংয়ের বেশিরভাগ অংশ প্রত্যক্ষ ম্যাচ থেকে ধারণ করা হয়। ছবি শুরুর আগেই পরিচালক আমাদের জানিয়ে দেন – ‘‘ইরানে স্টেডিয়ামের অভ্যন্তরে নারীদের ফুটবল খেলা দেখতে দেওয়া হয় না।’’ ছবির শুরুতেই দেখি পুরুষের পোশাকে একটি মেয়ে বাসে করে স্টেডিয়ামের পথে যাচ্ছে খেলা দেখবে বলে। এই যে নারীর আকুতি ফুটবল খেলা দেখার- তা সে পুরুষের পোশাক পরে হলেও দেখতে চায়। কিন্তু দেখা হয় না, কিন্তু দেখার চেয়েও আরও বড় কিছু পানাহী আমাদের দেখান। যখন স্টেডিয়ামের একটি জায়গায় বেশ কয়েকটা মেয়েকে ধরে রাখা হয় (তারাও ছেলেদের পোশাকে খেলা দেখতে এসেছিল), একটি মেয়ে জিজ্ঞেস করে – ‘‘জাপান বা অন্য দেশের নারীরা যদি খেলা দেখতে পারে তাহলে আমরা কেন পারব না?’’ কোনো উত্তর মেলে না। ছবির একটা বিশেষ মুহূর্তে যখন ইরান গোল দেয়, তখন পুলিশ এবং আটক নারীরা মিলে আনন্দ প্রকাশ করে এই বলে ‘‘লং লিভ ইরান’’ আর এখানেই পানাহীর চরম প্রহসন প্রকাশ পায়। যে দেশে নারীদের খেলা দেখতে দেওয়া হচ্ছে না অথচ দেশের জয়ে উভয়েই (রাষ্ট্র কর্তৃপক্ষ ও আটক ব্যক্তি) আনন্দে উল্লসিত হচ্ছে। শুধু তাই না পানাহীর সব ছবিতে ইরানি সংস্কৃতির উজ্জ্বল উপস্থিতি আমরা লক্ষ্য করি। সেটা কোনো সাপুড়িয়ার খেলার হোয়াইট বেলুন) মাধ্যমে দেখানো হোক বা কোনো স্থানীয় সুরের বাঁশি বাজিয়েই (দ্য সার্কল) শোনানো হোক না কেন।
মানবিকতায় পূর্ণ তার ছবিগুলোকে যখন রাজনীতির কদর্য বেড়াজালে বন্দি করে তার বিরুদ্ধে অযথা অভিযোগ উত্থাপন করা হয় তখন বিশ্বের সিনেমামোদীরা চুপ করে বসে থাকতে পারেন না। তাই চলচ্চিত্র উৎসব থেকে শুরু করে বিভিন্ন সংস্থা এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে উঠেছে। নিউইয়র্ক শাখার এশিয়াটিক সোসাইটির হামিদ দাবাশি পানাহীর সম্পাদিত এবং রাসোলফ পরিচালিত ছবি ‘দ্য হোয়াইট মিডোস’ প্রসঙ্গে বলেন – ‘‘ছবিটি ইরানের দীর্ঘ ঐতিহ্যকে বহন করে। সে ছবি কোনোভাবেই রাজনৈতিক দৃষ্টিতে দেখা উচিত নয়।’’ পানাহী নির্মিত ছবিগুলোকে দাবাশি সিনেমার ইতিহাসের বিভিন্ন আন্দোলনের সঙ্গে তুলনা করে বলেন – ‘‘পানাহীর ছবি ইতালির নিও-রিয়ালিজম, ১৯৭০-এর দশকের জার্মান নিউ ওয়েভ এবং ফ্রান্সের নিউ-ওয়েভের সঙ্গে তুলনীয়। পৃথিবীর বড় মাপের ছবিগুলো সময়োচিত হয় এবং তা সামাজিক ও রাজনৈতিক মানবিক আঘাতরূপে দেখা দেয়। ভালো ছবি শুধু ইরান নয়, পৃথিবীর যে কোনো দেশে তা পারিপার্শ্বিক অবস্থার কারণে নির্মিত হয়। দাবাশি সাধারণ মানুষকেও পানাহীর নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে আহবান জানান।
৭ জুন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বিশ্বের সেলিব্রেটিদের নিয়ে নিউইয়র্ক সিটির স্ট্রিট প্লাজার ‘‘আজাদী স্কয়ার’-এ বিক্ষোভ প্রদর্শনের আয়োজন করে। যাদের মাঝে অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্ত নির্মাতা পল হাগিজ থেকে শুরু করে ইরানের অভিনেত্রী ও প্রযোজক ট্রুডি স্টাইলার, সাংবাদিক ও নির্মাতা মাজিয়ার বালানিসহ আরো অনেকে থাকেন। প্রায় বিশ হাজারের অধিক সেলিব্রেটি ও সাধারণ জনগণ নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে পিটিশনে সই করেন। অ্যামনেস্টির কক্স বলেন – ভাবুন তো একবার এমন পরিস্থিতির কথা যখন আপনার সরকার আপনাকে কাজ করতে দিচ্ছে না, আপনি মন খুলে আপনার কথা, আপনার বিশ্বাস বলতে পারছেন না, যদি বলেন তাহলে আপনাকে কারাগারে নিক্ষেপ করা হচ্ছে। জাফর পানাহী এবং মোহাম্মদ রাসোলফের ক্ষেত্রে যা করা হয়েছে তা কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না। এর বিরুদ্ধে অবিলম্বে একটা ব্যবস্থা গ্রহণ প্রয়োজন।’’ হাগিজ, যিনি ‘মিলিয়ন ডলার বেবি’ লেখার জন্যে শ্রেষ্ঠ পান্ডুলিপির জন্য পুরস্কৃত, বলেন – ‘‘ ইরানে জাফর পানাহী এবং মোহাম্মদ রাসোলফের ক্ষেত্রে যা করা হয়েছে তা অত্যন্ত অনৈতিক। তাদের বিষয়ে আন্তর্জাতিক সিনেমা মহল চুপ করে থাকতে পারে না। আমাদের অবশ্যই কথা বলতে হবে এবং তাদের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার সব ব্যবস্থা করতে হবে। 
ফ্লোরা সরকার